ঢাকাTuesday , 1 April 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোলায় সদর থানা হাজতে যুবকের মৃত্যু : বিচার দাবি পরিবারের

admin
April 1, 2025 3:01 pm
Link Copied!

এইচ এম এরশাদ ভোলা

ভোলায় ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটককৃত হাসান (২২) নামের এক যুবক ভোলা সদর থানা হাজত খানায় আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ভোলা সদর মডেল থানার হাজত খানায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেদুয়া গ্রামের মনির হাওলাদারের মেয়ে ফাতেমা ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে গরুর মাংস ফ্রিজে রাখতে পার্শবর্তী রফিকুল ইসলামের বাসায় যায়। এসময় ঘরে কেউ না রফিকের ছেলে হাসান (২২) ফাতেমাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ফাতেমার ডাক চিৎকারে বাড়ির আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ফাতেমাকে উদ্ধার করে ধর্ষক হাসানকে মারধর করে দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ফাতেমার বাবা মনির হাওলাদার নিজে নিজে বাদি হয়ে ভোলা থানায় একটি ধর্ষনের অভিযোগ করলে পুলিশ হাসানকে হাসপাতাল থেকে আটক করে থানা হাজতে রাখে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছিলো। এসময় রাত ১২ টার পরে পাহারাদা পুলিশ (সেন্ট্রি) হাজত খানায় হাসানকে দেখতে না পেয়ে অপর পুলিশদের খবর দেয়। পুলিশ এসে হাজত খানা খুলে খুঁজে বাথরুমে ঝুলতে দেখে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিলে কর্তব্যরত ডাঃ তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত হসানের লাশ সূরত হালের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

এদিকে সদ্য বিবাহিত হাসানের স্ত্রী জানায়, দুই মাস হয়েছে আমাদের বিয়ে হয়েছে। ঘরে একজন যুবতী স্ত্রী রেখে একজন বৃদ্ধ মহিলাকে ধর্ষন করতে পারেনা। হাসানকে ফাতেমার পরিবারের লোকেরা অন্যায় ভাবে মারধর করেছে। এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত কেরে বিচারের দাবী জানান ওই গৃহবধু।

এ বিষয়ে হাসানের মা বলেন, আমার এতিম ছেলে যদি কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে আইনের আওতায় শাস্তি দিতেন। তবুও শান্তনা পেতাম যে, আমার শন্তান বেঁচে আছে। আমি এর বিচার চাই।

এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফাতেমার বাবা ধর্ষণের একটি অভিযোগে করেন। অভিযোগটি যাচাই করতে পুলিশ হাসপাতালে যায়। এসময় অভিযুক্ত হাসাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করলে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে থানায় আটক রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দায়িত্বে থাকা পুলিশ তাকে হাজত খানায় দেখতে না পেয়ে সঙ্গীয় পুলিশ এনে হাজত খানা খুলে হাসানকে বাথরুমে হলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এর মৃত্যুর সাথে অন্য কোনো ঘটনা থাকলে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।